১৩ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষা দিতে না পারায় তদন্ত কমিটি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৩ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দাখিল পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলেন- বেরী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়াহইয়া, মো. আব্দুল মালিকের ছেলে হাফিজ মোঃ লুকমান, মোঃ আরজক আলীর ছেলে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ মাসুক আলীর ছেলে মোঃ ফয়েজ মিয়া, নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ ছানোয়ার হুসেন, কাজি আঃ মুকিত (মাদ্রাসার সুপার) এর ছেলে কাজি সায়েম আহমদ, নতুন বেরী গ্রামের মাওঃ আবুল লেইছের মেয়ে মোছাঃ ছাদিয়া আক্তার, প্রতাবপুর গ্রামের কাজি ইকবাল হুসেনের মেয়ে মোছাঃ সাজিরা বেগম, চৌমুনা গ্রামের মকবুল মিয়ার মেয়ে সুলতানা বেগম, লকুছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম, প্রতাবপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে মাহবুবা বেগম, প্রতাবপুর গ্রামের সামিয়ারা ও তানজিনা বেগম।

প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা বাদী হয়ে প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীরকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে তিনি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন- উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন কুমার সানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহেরউল্ল্যাহ ও মুহিবুর রহমান মানিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সলিলেন্দু কুমার তালুকদার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সোনিয়া সুলতানা বলেন, মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মুকিতকে বহিস্কারের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিধি মোতাবেক সিদ্বান্ত বাস্থবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অন্য কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্বে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ৩ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষায় দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর ও কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারনে এবার দাখিল পরীক্ষা দিতে পারেনি না ১৩ জন ছাত্রছাত্রী। ফরম ফিলাপ করেও দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর ও কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারণে প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় তারা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষাথীদের টাকা পয়সা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

আপনি আরও পড়তে পারেন